বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ মামলায় সালমান-আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. রাশিদুল হাসান। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দুজনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোপন সূত্রে জানা যায় নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় জড়িত আসামিরা সদরঘাট ২নং মসজিদ সংলগ্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখে লেনদেন করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টাকালে তাদের সঙ্গীয় অফিসারদের সহায়তায় আটক করা হয়। পরে তারা তাদের নাম-ঠিকানা জানান।

আটকের পর আসামি আনিসুল হকের কাছে থাকা ব্যাগে রাখা ১৭ হাজার ৫৯২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুর ডলার এবং সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ফ্রান্সের ৬২০ মুদ্রা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাড়ে ৮ হাজার মুদ্রা, ১১ হাজার ৬৫০ সৌদি রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুর ডলার, ১৫০ পাউন্ড ও ১ হাজার ৩৩২ ইউরো এবং ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিদের জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন। আসামিরা জ্ঞাতসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও অনুমোদন ব্যতিরেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা নিজ হেফাজতে ফরেন এক্সচেঞ্জ রেজ্যুলেশন আইনে অপরাধ করেছেন।

জেএ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।