বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
আহতদের দেখতে সিএমএইচে চিফ প্রসিকিউটর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নেন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। এসময় দেশবাসীর কাছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তথ্য চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন টিম।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ১৪টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে সেগুলো তদন্ত পর্যায়ে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এতে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আরও চারজন আইনজীবীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগ পাওয়া বাকি চার আইনজীবী হলেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এ ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছিল।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম