নিজামীর রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল


প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, ০৩ মে ২০১৬

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নিজামীর করা আবেদনের রায়ের দিন ঠিক করার পর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, নিজামীর দণ্ড পুনর্বিবেচনার কোনো দরকার এবং প্রয়োজন নেই। কারণ নিজামীর দণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘শুনানিতে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়েছে- যে সমস্ত সাক্ষীর ভিত্তিতে তাকে (নিজামী) দণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের বিশ্বাস করা যায় না। এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়েরও তাকে অভিযুক্ত করা যায় না।’

অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলেছি-তার যে বক্তব্য প্ররোচণামূলক বক্তব্য এবং এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার আল বদরের ওপর ১৪ অক্টোবর ৭১ সালে প্রকাশিত লেখা প্রকাশিত হয়েছিলো যার পরিপ্রেক্ষিতে এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো।

তিনি বলেন, তাছাড়া যারা সাক্ষী তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে-যখন একজন ডাক্তারকে ধরে নেয়া হয়, তার স্ত্রীকে তখন আল বদররা বলেছিল মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে তারা তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে তাকে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল।

ফাঁসির রায় বহাল থাকবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমিতো আশাবাদী।’

আসামিপক্ষ কোন কোন অভিযোগ থেকে খালাস চেয়েছিলো এ প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, যাবজ্জীবন নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখেনি। তাদের সাবমিশনে যা বুঝলাম মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি চায়।’

মাহবুবে আলম বলেন, যা রায় (মুত্যদণ্ডের রায়) হয়েছে সঠিক রায় হয়েছে। এটার পুর্নবিবেচনার কোনো প্রয়োজন নেই। এবং কোনো অবকাশ নেই।

তাছাড়া পুনর্বিবেচনা যে প্রয়োজন এ মর্মে কোনো যুক্তি তারা উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই আমি মৃত্যুদণ্ড বহাল চেয়েছি।     

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘তিনটি অভিযোগের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছি। যে তিনটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আমরা বলেছি যে তিনটি অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণ প্রসিকিউশন থেকে দেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্বল। এবং এ সাক্ষ্য প্রমাণের উপরে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না। বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম ও আজহারের স্ত্রীর যে বক্তব্য (নিজামীর নির্দেশে ধরে নেয়া) এ কথাটি দীর্ঘ ৪০ বছর বলেননি। এমনকি তদন্ত কর্মকর্মতাকেও বলেননি। হঠাৎ করে শিখানো কথা বলা হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে চরমদণ্ড দেয়া যায় না।’

কি আশা করেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা আশা করছি ন্যায় বিচার। সর্বোচ্চ আদালত যে বিচার করবে সেটাই ন্যায় বিচার। তারপর ভবিষ্যত প্রজন্ম ইতিহাস বিচার করবে এ বিচার সঠিক ছিলো কি না।’

এফএইচ/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।