নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে বন্যা

ভুলুয়া নদী ও সব খাল দখলমুক্ত করে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষের সুরক্ষায় ভুলুয়া নদীসহ সব খাল অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে নদী-খাল দখল ও ভরাট করে নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভুলুয়া নদী ও খালের পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করে হাইকোর্টকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জারি করা রুলে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলমুক্ত করায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে পানিবন্দি মানুষের সুরক্ষায় ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলমুক্ত করার ও মানবসৃষ্ট বন্যা রোধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুরের স্থায়ী বাসিন্দা আবদুস সাত্তার পালোয়ান জনস্বার্থে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।

গত ২৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ভুলুয়া নদীর দখল ও অব্যবস্থাপনা: পানিবন্দি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ৩ লাখ মানুষ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন রিটে যুক্ত করা হয়।

রিটে নৌ-পরিবহন সচিব, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে নদী ও খাল দখল রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভুলুয়া নদী ও সব খাল দখলদারদের কাছ থেকে খরচ আদায় করে দখলমুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ভুলুয়া নদীর অব্যবস্থাপনা ও দখলের কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টানা ৩৩ দিন ধরে নদীর পানি না নামার কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির শিকার স্থানীয়রা।

ভুলুয়া নদী নোয়াখালী থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার মাঝ দিয়ে দক্ষিণে গিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীর দুই তীরে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার অন্তত ২০টি ইউনিয়ন অবস্থিত। নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ ইউনিয়নগুলোর মানুষ রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি ভুলুয়া নদীর জমি দখল করে বিক্রি করেছেন এবং শতাধিক বসতি নির্মাণ করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার মধ্য দিয়ে মেঘনা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ভুলুয়া নদীর লক্ষ্মীপুর অংশের দৈর্ঘ্য ৭৬ কিলোমিটার। জলাধারটি আগে গড়ে ৩০০ মিটার চওড়া থাকলেও এখন কমে গড়ে ১০০ মিটার হয়ে গেছে।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।