শামসুদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাত অভিযোগ
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীদের সহায়তায় হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ সাতটি অভিযোগ চূড়ান্ত করে আনা হয়েছে।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে শামসুদ্দিন ছাড়া সবাই পলাতক। বাকি চারজন হলেন শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ‘রাজাকার কমান্ডার’ গাজী আব্দুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে পাঁচ আসামির বিচার শুরু করে আদালত। পাঁচজনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সাত অভিযোগ:
প্রথম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর ও আয়লা গ্রামের মোট আটজনকে হত্যা ও একজনকে আহত করা।
দ্বিতীয় অভিযোগ : ১৩ নভেম্বর আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনকে হত্যা।
তৃতীয় অভিযোগ : একই উপজেলার মো. আব্দুল গফুরকে অপহরণ করে ২৬ সেপ্টেম্বর খুদির জঙ্গল ব্রিজে নিয়ে হত্যা।
চতুর্থ অভিযোগ : ২৩ অগাস্ট করিমগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলোতে শান্তি কমিটির কার্যালয়ে আতকাপাড়া গ্রামে মো. ফজলুর রহমান মাস্টারকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যা।
পঞ্চম অভিযোগ : ৭ সেপ্টেম্বর রামনগর গ্রামের পরেশ চন্দ্র সরকারকে হত্যা।
ষষ্ঠ অভিযোগ : ২৫ অগাস্ট পূর্ব নবাইদ কালিপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ও রূপালীকে অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যা।
সপ্তম অভিযোগ : ১৫ সেপ্টেম্বর আতকাপাড়া গ্রামে আক্রমণ করে ২০-২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এক বছর পাঁচ মাস ১৮ দিন তদন্ত করে গত ২৪ নভেম্বর তদন্ত কাজ শেষ হয়। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন।
এফএইচ/বিএ