বার কাউন্সিলের উপ-সচিব ও দুই প্রহরী বরখাস্ত
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অফিস থেকে ফাইলপত্র গায়েব এবং ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উপ-সচিব আফজাল উর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে, দারোয়ান (প্রহরী) মো. বদিউজ্জামান ও মাসুম বিল্লাহকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদারের সইয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ পৃথক পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপস্থিত না থেকে বন্ধের দিন শুক্রবার অফিসে এসে অনুমতি ছাড়া নথি-পত্র নিয়ে যাওয়া এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া ই-মেইল যোগে স্বাক্ষরবিহীন দরখাস্ত জমা দিয়ে ১৫ দিনের ছুটিতে থাকা ছাড়াও বার কাউন্সিলের ছয়জন কর্মচারীরা দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছেন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বার কাউন্সিলের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের পদত্যাগ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে মূল্যবান নথি, মালামাল এবং ঘুসের টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বার কাউন্সিলের পলাতক উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমান, দারোয়ান (প্রহরী) মো. বদিউজ্জামান, মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বার কাউন্সিলের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন সুলতানা রাব্বি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমানের বিরুদ্ধে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতির অভিযোগ করে অপসারণ দাবি করাকালীন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকশ আইনজীবী ও ছাত্র-জনতা গত ১৩ আগস্ট দুপুরে অফিসে আসার আগেই তিনি খবর পেয়ে পালিয়ে যান। তখন আইনজীবীরা এবং অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার অফিস চেম্বারে তালা মেরে চাবি বার কাউন্সিলের সচিবের জিম্মায় রাখেন। বিষয়টি বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেলকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা হয়। তারপর থেকে উপ-সচিব মো. আফজাল উর রহমান ছুটি ছাড়া পলাতক থাকেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে মো. আফজাল উর রহমান তার ব্যক্তিগত গাড়ি ঢাকা মেট্রো-গ ২৩-৫১৩৫ নং গাড়িযোগে অফিসে এসে দারোয়ান বদিউজ্জামান ও মাসুম বিল্লাহর সহযোগিতায় বহিরাগত এক মিস্ত্রিকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম তলায় তার অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসের সব মূল্যবান রেজুলেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে (ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ বস্তা) নিয়ে দুপুর ১টা ৮ মিনিটে নিজ গাড়িযোগে পালিয়ে যান।
এফএইচ/এমআরএম/এমএস