মেট্রোরেল ভাঙচুর মামলায় রিজভী-পরওয়ার-নুরসহ ৪৭ জনকে অব্যাহতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৪

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। এসব মামলার দায় থেকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরসহ ৪৭ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কাফরুল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সি ১৪ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পরিদর্শক মো. মতলুবর রহমান ১৩ আসামি এবং অপর মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম ২০ আসামির অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ছয় হাজার জনকে আসামি করেন। কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ করেন।

পরে গত ২৩ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক মো. গোলাম রসূল আজাদ বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের মিরপুর থানার আওতাধীন অংশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে গত ২৪ জুলাই উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা নয় হাজার জনকে আসামি করেন।

জেএ/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।