যে কারণে পিপি পদে যোগদান করছেন না এহসানুল হক সমাজী
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে যোগদান করছেন না অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। পেশাগত মর্যাদাকে বজায় রাখার স্বার্থে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে তিনি এ পদ যোগদান করছেন না।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ সলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এহসানুল হক সমাজীকে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে বুধবার এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দুপুরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে তার নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে এ নিয়োগ বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা। তা না হলে তাকে এ দায়িত্বপালন করতে দেওয়া হবে না মর্মে হুমকি প্রদান করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সমাজীকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিবাদ জানান তারা। এ সমাবেশে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপি দলীয় সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার মধ্যে এহসানুল হক সমাজী পদত্যাগ না করলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারী আইনজীবীরা।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এহসানুল হক সমাজী ২ বছর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আব্দুল্লাহ আবু আর আদালতেই আসেননি।
এহসানুল হক সমাজী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।
জেএ/এসআইটি/এএসএম