শিগগির প্রত্যাহার হচ্ছে জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ
দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির কার্যালয় খুলেছে ৫ তারিখেই। তবে এরপর থেকে দলটি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের চেয়ে সামাজিক কার্যক্রমে মনোযোগ দিয়েছে বেশি। ৫ আগস্টের নাটকীয় পরিবর্তনের পর জামায়াত বৈঠক করেছে প্রেসিডেন্ট, প্রধান উপদেষ্টা এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে। যদিও কাগজে-কলমে দলটি এখনো নিষিদ্ধ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জামায়াত ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এদিকে নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার এবং নিবন্ধনের বিষয়টি ফয়সালার জন্য জামায়াত এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দিয়েছে।
জামায়াতের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির জাগো নিউজকে বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আগে ছিল না। আগে ছিল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের বিষয়টি। এখন যেহেতু জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এ নিয়ে আইনের বিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার সেটি প্রক্রিয়া করছে।
আরও পড়ুন
- প্রতিশোধ নেবেন না, জামায়াত প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না
- ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না’
শিশির মনির জানান, কোনো অর্গানাইজেশনকে যদি কেউ নিষিদ্ধ করে তাহলে প্রথমে সরকারের কাছে এই আদেশ প্রত্যাহারের জন্য আরজি জানাতে হয়। সরকার নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করতে পারে। সরকার যদি নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার না করে, তবে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করার বিধান আছে।
তিনি জানান, আমরা আইনগত আলাপ আলোচনা করেছি। তাতে আমাদের দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস, সরকারই নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নেবে। আমাদের কার্যক্রমটি সরকারের নিকট প্রক্রিয়াধীন। আশা করি শিগগিরই এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানও আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ফেরাতেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গত ১ আগস্ট জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। সে সময় জামায়াত এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। পরে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান।
এফএইচ/এমএইচআর/এমএস