২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন

কমিশনারদের দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৪
ভোটারশূন্য কেন্দ্র, ২০২৯ সালের ছবি

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ ধারায় প্রদত্ত দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না আবেদনে সেটি জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের দশজন আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়েছে, এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

তিনি বলেন, আদালতে যদি এই দায়মুক্তির আইন অসাংবিধানিক ঘোষিত হয় তাহলে দুটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন ২০২২ এর ধারা ৯ চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

তিনি বলেন, এই আইনের ধারা ৯ এর মাধ্যমে এর আগে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এটি সংবিধানের ২৬, ২৭ এবং ৩১ অনুচ্ছেদ, ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি।

এই আইনের ধারা ৯ এর মাধ্যমে বিচারবিভাগের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। এ ধরনের দায়মুক্তি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী।

হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।