গণহত্যার দায়

মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৮ এএম, ০৭ আগস্ট ২০২৪
শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি

দেশের শত শত শিক্ষার্থী ও জনতাকে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশন দায়েরকারী আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা এবং তার আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

আইনজীবী অনীক আর হক বলেন, পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পলাতক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, সেখানের আইনটা যদি দেখি। যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে মামলা হতে পারে। সেখানে যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তখন তাকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এই মুহূর্তে এগুলো কোনো কিছু না করে আগে দেশের পরিস্থিতি ঠিক করা দরকার। পরে যা করার সেটা করা যাবে।’

অনীক আর হক বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নয়, তিনি তার সহযোগীরা যে সব গণহত্যার অপরাধ করেছে, চাইলে উচ্চ আদালতেও শেখ হাসিনাসহ সবার বিচার করা সম্ভব।

এখন কোনো সরকার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কোনো সরকার নাই। তবে রাষ্ট্রপতি আছেন, সেনা প্রধান আছেন। তবে ডকট্রিন অব নেসিসিটির প্রয়োজনে সবকিছুই সম্ভব।

ব্যারিস্টার তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী নির্বাচন দেওয়া। এর আগেও বাংলাদেশে দুটি নজির রয়েছে। ১৯৯০ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করা হয়, তখন কিন্তু ডকট্রিন অব নেসিসিটির ভিত্তিতেই করা হয়েছিল। এখান থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারি।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রায় দিয়ে শপথভঙ্গ করেছেন আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিনের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ আইনজীবী বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের বিচারপতিরা রাগ অনুরাগ বিরাগের ঊর্ধ্বে উঠে শপথ নিয়েছেন। বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বারের সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। আমরা আশা করি বিচারপতিরা তাদের শপথের আলোকেই দায়িত্ব পালন করবেন।

এ সময় তিনি গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও লুটপাটের নিন্দা জানান। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ধর্মীয় স্থাপনা রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের প্রতিরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান।

গণভবনসহ সরকারি বাস ভবনে যারা লুটপাট করেছেন তাদেরকে সিসিটিভি দেখে বিচারের আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন আইনজীবী অনীক আর হক।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ভারতে গিয়ে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন। এখন তিনি সেখানেই আছেন।

এফএইচ/এসএনআর/এমএমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।