আন্দোলন
শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে রিটের আদেশ আজ
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর হাইকোর্টের আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানি ও আদেশের জন্য রয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনের ওপর সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
- আরও পড়ুন
শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঢাবি শিক্ষার্থীদের হয়রানি করলে প্রক্টর অফিসে জানানোর আহ্বান
ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল হক (জেড আই) খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন এবং ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান। শুনানিতে তাদের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভুঁইয়া শুনানিতে অংশ নেন। এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। তাদের পক্ষে রিটটি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
রিট আবেদনে সম্প্রতি কোটা আন্দোলন ঘিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটকারী আইনজীবী মানজুর আল মতিন সাংবাদিকদের জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালানো এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) আটক আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
সোমবার (২৯ জুলাই) ওই রিটের বিষয়ে শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি করতে গেলে আদালত তা গ্রহণ করেননি। এরপর দুপুরেই আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
- আরও পড়ুন
সহিংসতায় ১৪৭ জন মারা গেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের প্রাণহানির তথ্য পেয়েছে সরকার। গত রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে নিহতের সংখ্যা নিয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ১৫ জুলাইয়ের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক রোববার রাতে এক ভিডিও বার্তায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ডিবি কার্যালয়ে ধারণ করা এ ভিডিও বার্তা ওই রাতেই গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম