দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর

দেওয়াল টপকে প্রবেশ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে ক্ষতি ৫০০ কোটি

জাহাঙ্গীর আলম
জাহাঙ্গীর আলম জাহাঙ্গীর আলম , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৪
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আগুন, ছবি: জাগো নিউজ

‘কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন দুর্বৃত্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অধিদপ্তরের মেইনগেট বন্ধ থাকায় এসময় আন্দোলনকারীরা দেওয়াল টপকে অনধিকার প্রবেশ করে। আন্দোলনকারীরা ভবনের ভেতরে থাকা ৬১টি যানবাহন এবং বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে অধিদপ্তরের ৫০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।’

১৮ জুলাইয়ের এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বাজেট/হিসাব) দিলীপ কুমার সাহা (৫৪) বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বাদী এসব কথা বলেছেন।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে অতর্কিত হামলা করে।

আসামিরা আমাদের অফিস লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মেইনগেট বন্ধ থাকার কারণে অজ্ঞাতনামা আসামিরা দেওয়াল টপকিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে তাদের হাতে থাকা লাঠিসোঁটা দিয়ে পার্কিংয়ে রাখা জিপখানার গাড়ি, মাইক্রোবাস, কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করতে থাকে। ভাঙচুরের একপর্যায়ে আসামিরা পার্কিংয়ে রাখা গাড়িগুলোতে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

বিষয়টি আমি জানতে পেরে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে সংবাদ প্রদান করেন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে উক্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে পার্কিংয়ে থাকা ২৯টি জিপগাড়ি, ১১টি মাইক্রোবাস, ৪টি পিকআপ, ১টি ক্যারিবয় গাড়ি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ১৩টি মোটরসাইকেলসহ সর্বমোট ৬৪টি গাড়ি পুড়ে যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আগুন ছড়িয়ে সার্ভার স্টেশন, সাব-স্টেশন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, এসি, লিফট, ভবনের টাইলস ও গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট পুড়ে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকার অধিক পরিমাণ ক্ষতিসাধন হয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, বনানী থানার এসআই শফিকুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার বাদী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বাজেট/হিসাব) দিলীপ কুমার সাহা (৫৪) জাগো নিউজকে বলেন, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। বিকেলে ৪টা ৩৫ মিনিটে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে অতর্কিত হামলা করে। এসময় আসামিরা ভবনে প্রবেশ করে ৬৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং অফিসের বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকার অধিক পরিমাণ ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।

জেএ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।