নুর-গোলাম পরওয়ারসহ কারাগারে ৩০২, রিমান্ডে ১৮

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৪
নুরুল হক নুরসহ কারাগারে ৩০২ জন

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ বিএনপি-জামায়াতের আরও ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার নিম্ন আদালত। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পৃথক দুইটি আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও মিয়া গোলাম পরওয়ারকে কারাগারে পাঠান আদালত। শুক্রবার রিমান্ড শেষে কারাগারে যাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। বিটিভি ভবনে হামলার মামলায় তারা রিমান্ডে ছিলেন।

এছাড়া ঢাকার পাঁচ থানার পৃথক কয়েকটি মামলায় আরও ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এরমধ্যে শাহবাগ থানার একজন, মিরপুর থানার পাঁচজন, ধানমন্ডি থানার ছয়জন, খিলগাঁও থানার একজন ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পাঁচজন আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিকে কারাগারে যাওয়া ৩০২ আসামিদের মধ্যে ওয়ারী থানার ছয়জন, সূত্রাপুর থানার তিনজন, গেন্ডারিয়া থানার দুইজন, ক্যান্টনমেন্ট থানার চারজন, খিলক্ষেত থানার একজন, কলাবাগান থানার একজন, সবুজবাগ থানার দুইজন, রামপুরা থানার নয়জন, তেজগাঁও থানার ১২ জন, হাতিরঝিল থানার ছয়জন, আদাবর থানার পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়াও মোহাম্মদপুর থানার ২৪ জন, রমনা থানার ছয়জন, কাফরুল থানার ১০ জন, পল্লবী থানার ১০ জন, রুপনগর থানার চারজন, পল্টন থানার চারজন, শাহজাহানপুর থানার আটজন, মতিঝিল থানার ছয়জন, মিরপুর থানার ১৫ জন, শেরেবাংলা নগর থানার আটজন, দারুসসালাম থানার দুইজন, ভাটারা থানার নয়জন, বাড্ডা থানার একজন, বংশাল থানার দুইজন, কোতয়ালি থানার একজন, চকবাজার থানার আটজন, লালবাগ থানার নয়জন, বনানী থানার নয়জন, গুলশান থানার দুইজন, কদমতলী থানার ১০ জন, উত্তরা পূর্ব থানার ছয়জন, উত্তরা পশ্চিম থানার একজন, তুরাগ থানার পাঁচজন, ধানমন্ডি থানার ১৬ জন, হাজারীবাগ থানার একজন, বিমানবন্দর থানার পাঁচজন, যাত্রাবাড়ী থানার ১৯ জন, ডেমরা থানার ১২ জন, উত্তরখান থানার একজন, খিলগাঁও থানার তিনজন ও মুগদা থানার একজন আসামি রয়েছেন। তাছাড়াও ঢাকা জেলার সাভার থানার ১৫ জন, আশুলিয়া থানার একজন, ধামরাই থানার তিনজন, নবাবগঞ্জ থানার দুইজন, দোহার থানার আটজন ও কেরানিগঞ্জ দক্ষিণ থানার চারজন রয়েছেন।

এছাড়াও ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত সাতদিনে অন্তত ১৬৯৪ জনকে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ফলে এ নিয়ে কারাগারে যাওয়া মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ১৯৯৬ জনে। এরমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড ভোগ করেন। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ও রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

জেএ/জেএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।