কোটা সংস্কার: পার্থসহ রিমান্ডে ১৬, কারাগারে ২৫১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪
জাতীয় পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ

রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও রাজধানীর সাত থানার মামলায় ১৫ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পার্থকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে তাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিন রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে শাহবাগ থানার একজন, ক্যান্টমেন্ট থানার দুজন, আদাবর থানার একজন, ধানমন্ডি থানার চারজন, ডেমরা থানার একজন, খিলগাঁও থানার একজন, বনানী থানার দুজন ও পল্টন মডেল থানার তিনজন রয়েছে।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার বিভিন্ন মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের আরও ২৫১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে শাহবাগ থানার একজন, রমনা মডেল থানার একজন, কলাবাগান থানার দুজন, নিউমার্কেট থানার চারজন, ক্যান্টনমেন্ট থানার ছয়জন, ওয়ারী থানার ১০ জন, রামপুরা ২২ জন, সবুজবাগ থানার তিনজন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ১১ জন, তেজগাঁও থানার আটজন, হাতিরঝিল থানার ছয়জন, মোহাম্মদপুর থানার ১১ জন, আদাবর থানার শিশুসহ তিনজন, পল্লবী থানার ছয়জন, কাফরুল থানার তিনজন, কদমতলী থানার ছয়জন, উত্তরা পশ্চিম থানার তিনজন, উত্তরা পূর্ব থানার চার, তুরাগ থানার সাতজন, ধানমন্ডি থানার পাঁচজন, ডেমরা থানার চারজন, যাত্রাবাড়ী থানার ২১ জন, খিলগাঁও থানার একজন, গুলশান থানার দুজন, বনানী থানার তিনজন, কোতোয়ালি থানার পাঁচজন, বংশাল থানার পাঁচজন, লালবাগ থানার ৯ জন, চকবাজার থানার একজন, বাড্ডা থানার ২০ জন, ভাটারা থানার দুজন, মিরপুর থানার ১৬ জন, শেরেবাংলা নগর থানার একজন, মতিঝিল থানার পাঁচজন, পল্টন মডেল থানার ১৪ জন ও শাহজাহানপুর থানার দুজন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পাঁচজন, সাভার থানার ১৩ জন রয়েছেন।

এছাড়াও ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত ছয়দিনে অন্তত ১৪২৯ জনকে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ফলে এ নিয়ে কারাগারে যাওয়া মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো অন্তত ১৬৮০ জনে। এরমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড ভোগ করেন। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ও রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

জেএ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।