বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নির্ধারণে নীতিমালা চেয়ে রিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৪
ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক টিউশন ফি নির্ধারণে নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী করা হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক টিউশন ফি নির্ধারণে নীতিমালা করার দাবি জানানো হয়েছে। রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী নিজেই।

এর আগে গত ৮ জুলাই এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনূছ আলী আকন্দ। সেখানে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় রিটটি করা হয়।

রিটে বলা হয়, কোনো কারণ ছাড়াই বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগেই প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি প্রায় লাখ টাকা নেওয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি জমা না দিতে পারলে তার ওপর প্রতিদিন ১০০ টাকা হিসাবে জরিমানা আরোপ করা হয়। যা কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৫০ বা ১০০ শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৮ হাজার বা ১০ হাজার টাকা টিউশন ফি নেওয়ার জন্য সরকার ধার্য করে দেয়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকার এ ধরনের কোনো ফি নির্ধারণ করে দেয়নি। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও টিউশন ফি নির্ধারণ করে দিয়েছেন সরকার। কিন্তু অগ্রিম টিউশন ফি ও অগ্রিম জরিমানা নেওয়ার কোনো নীতিমালা বা আইন নেই। এ বিষয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও নেই, বিধিমালায়ও নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইনেও নেই।

রিটে আরও বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এভাবে প্রতি সেমিস্টারে কোটি কোটি টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ৮ ও ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শিক্ষাখরচ ফ্রি, কিন্তু এখন সংবিধান লঙ্ঘন করে অযৌক্তিকভাবে ফি আদায় হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সরকারও নিষ্ক্রিয়।

এতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানার টাকা প্রত্যাহার করা এবং জরিমানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে টিউশন ফি কমিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ বিষয়ে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক টিউশন ফি নির্ধারণের নীতিমালা করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করা হয়।

এফএইচ/এসএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।