ব্যারিস্টার সুমনের নিরাপত্তায় গানম্যান নিয়োগ
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হকের (সুমন) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় একজন গানম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে এমন তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার ডিএসবি স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, সংসদ সদস্য সুমনের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য ডিএসবি হবিগঞ্জে কর্মরত কনস্টেবল মো. রিফাদ ধানিয়েলকে অস্ত্রসহ (সাদা পোশাকে) গানম্যান নিয়োজিত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
সোমবার (৮ জুলাই) এ বিষয়ে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, হত্যার হুমকির প্রেক্ষাপটে আমাকে এ গানম্যান দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জুন নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সুমন বলেন, আমাকে হত্যার হুমকির কথা আমি আমার এলাকার ওসির মাধ্যমে জেনেছি। এরপর আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমি একজন মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) আমাকে কেন জিডি করতে হলো? যেহেতু পুলিশই বিষয়টি আমার আগে জেনেছেন। তাহলে কেন পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিল না? তদন্ত করলো না? যেখানে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।
ওইদিন ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমার নিরাপত্তা তো এখন আমার নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি এটাই বুঝলাম না যে এই রাষ্ট্রযন্ত্র আদৌও আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না? আমার মনে হচ্ছে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা লেখার জন্য বসে আছে। সাক্ষী দেওয়ার জন্য বসে আছে। তবে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি ভালোভাবে বিষয়টি দেখছেন বলেছেন।
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন, এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক কাজ করে জনপ্রিয়তা পান ব্যারিস্টার সুমন। সেই সঙ্গে দেশের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নামেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
একপর্যায়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদকের পদ পান ব্যারিস্টার সুমন। তবে পরে তাকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম