আদালতের আদেশ জালিয়াতি, পেশকার জনি রিমান্ডে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৮ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৪
ফাইল ছবি

বিচারকের আদেশ জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৯ এর বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) খন্দকার মোজাম্মেল হক জনির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে খন্দকার মোজাম্মেল হক জনিকে আটকের নির্দেশ দিলে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে আটক করেন।

এরপর আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. নূরে আলম বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি জনি শেরেবাংলা নগর থানার এক মামলায় ২০২২ সালে ৯ মার্চ ও ২১ মার্চ দুটি ভিন্ন আদেশ নথিতে লিপিবদ্ধ করেন। যেখানে করা সই সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারকের নয়। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২১ মার্চ প্রচারিত আদেশে আসামি অহিদুজ্জামানকে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ২৪৯ ধারা অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশের নথিতে সই সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকের না হওয়া এবং আদেশটি বেঞ্চ সহকারী খন্দকার মোজাম্মেল হকের লিখিত হওয়ায় এটি সুস্পষ্ট যে, তিনি বিচারকের সই জাল করে বেঞ্চ সহকারী হিসেবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ করে বিচারকের অগোচরে আদেশ প্রচার করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারকের আদালতে পাঠানো হলে আসামি বিচারকের অগোচরে ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল মামলার আসামি নাসির উদ্দিন ও আশিকুর রহমানকে প্রবেশন প্রদানের আদেশ কজলিস্ট ও কোর্ট ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করেন।

যদিও এরূপ কোনো আদেশ বিচারক প্রচার করেননি। এমনকি নথিটি শুনানির জন্য বিচারকের কাছে উপস্থাপনও করা হয়নি। আসামি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে এরূপ ন্যক্কারজনক অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

এসব বিষয়ে গত ৩০ জুন আসামি জনিকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি গত ১ জুলাই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দেন। তার লিখিত ব্যাখ্যা থেকেও এটি সুস্পষ্ট যে, তিনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে এসব হীন অপরাধ সংঘটন করেছেন, যা চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার পরিপন্থি।

জেএ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।