শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিনের মেয়াদ ফের বাড়লো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৪
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়লো।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

এসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজন আজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগামী ১৪ আগস্ট।

গত ২৩ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে স্থায়ী জামিন না দিয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ান শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল। তার আগে ১৬ এপ্রিল এ মামলায় ইউনূসসহ চারজনকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

এফএইচ/বিএ/জিকেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।