রেস্তোরাঁর ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী-সন্তানের আগাম জামিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ০৪ জুলাই ২০২৪
ফাইল ছবি

গুলশানের একটি ভবনে রেস্তোরাঁর ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, গুরুতর জখম, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী ও সন্তানের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলান তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

আদালতে ওইদিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খালেদ মাহমুদুর রহমান (আদনান)। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির পক্ষে মো. আব্বাস গুলশান থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।

ভবনের মালিক গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন ও সন্তান জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘পরস্পর যোগসাজশে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। ৫৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করা হয়েছে। একটি ঘড়ি চুরি হয়েছে, যার দাম চার লাখ টাকা। এছাড়া নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণের চেইন ও একটি আইফোন চুরি হয়েছে, যা উদ্ধার হয়নি।’

এদিকে গত ২৩ জুন দুপুরে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির নামে চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা মামলা করেন। ওই মামলার দ্বিতীয় আসামি নায়িকা ববি, প্রথম আসামি মির্জা আবুল বাশার (৩৪)। গত ২ জুলাই ওই মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন নায়িকা ববি।

মালিকের পক্ষে করা মামলার বাদী মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম। তার আইনজীবী আদনান জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে রেস্টুরেন্ট ভাড়া নেন আমান নামের একজন। এটার অবস্থান গুলশান ২–এর ১১৩ নম্বর সড়কে। আমান অর্থনৈতিকভাবে পুষিয়ে উঠতে পারছিলেন না। পরে ব্যবসায় তৃতীয়পক্ষ হিসেবে যুক্ত করেন আবুল বাশার ও চিত্রনায়িকা ববিকে। রেস্টুরেন্টের জিনিসপত্র তারা কিনে নিয়েছেন। সেভাবেই চুক্তি করেন বলে জানান সাকিব।’

ব্যবসার অংশ হিসেবে চুক্তিমতো আমানকে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ববি ও বাশার প্রথমে ১৫ লাখ, পরে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। কিন্তু দুটি চেকই ডিজঅনার হয়। এই টাকা চাওয়া নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

এফএইচ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।