আদালত অবমাননার আদেশ ২১ জুলাই

আইনজীবী মহসিন রশিদ ও বাদলের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ৩০ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া একটি চিঠির কিছু বক্তব্য বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ জুলাই দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশীদ ও আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত হয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। এরপর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আদেশের এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে, প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া আদালত বর্জনের কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠিতে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে আদালত অবমাননার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মাদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।

আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনায় আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, আমরা মাফ চাচ্ছি। খুবই দুঃখিত। এ ধরনের চিঠি আর লিখবো না।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল গত ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে চিঠি দেন। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে উপস্থাপন করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেবন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।

এ চিঠি নিয়ে দেওয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।

পরে গত ৩ জানুয়ারি এ দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন।

গত ১১ জানুয়ারি তাদেরপক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও আদেশ দেন।

এফএইচ/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।