খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২৩ জুন ২০২৪

যে আইনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে আইনে তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিদেশে পাঠানোর নতুন আবেদন নিয়ে তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদন আসেনি।

তিনি বলেন, যে আইনি ব্যবস্থায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে, একই আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর সুযোগ নেই।

রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জেলা জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, আজ সকালে খালেদা জিয়ার হার্টের পেসমেকার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন বলেই ২০২০ সাল থেকে তার সাজা স্থগিত রেখে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন। খালেদা জিয়া তার পছন্দমতো হাসপাতালে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, যতটুকু আমি জানি, আজ কিছুক্ষণ আগ থেকে খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে কিডনির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কথা আসেনি, আমি সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবো না।

প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে দেখেছেন বলেই খালেদা জিয়া বাসায় থেকে ওনার ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাজা স্থগিত রেখে উনার মুক্তির নির্বাহী আদেশটি একটা আইনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। সে আইনে তাকে এখন বিদেশ যেতে দেওয়া যায় না।

প্রধান অতিথি ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটেউটের পরিচালক ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার বক্তব্য রাখেন।

এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।