হাইকোর্ট

পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়া মিরনজিল্লা কলোনির হরিজনদের উচ্ছেদ নয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়া পুরান ঢাকার আগাসাদেক লেনের মিরনজিল্লা সুইপার কলোনির হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার ওপর ৩০ দিনের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক, অ্যাডভোকট উৎপল বিশ্বাস ও অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।

‘প্রতিবাদ করে উচ্ছেদ ঠেকাল শিক্ষার্থীরা, আতঙ্কে বাসিন্দারা’ শিরোনামে বুধবার (১২ জুন) গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী বৃহস্পতিবার সকালে রিট আবেদন দায়ের করেন। তিন আইনজীবী হলেন- মনোজ কুমার ভৌমিক, উৎপল বিশ্বাস ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

এ বিষয়ে আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে থাকা হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার ওপর ৩০ দিনের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এসময়ে তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এসময়ে তাদের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হলে তারা সেখান থেকে চলে যাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্য জায়গা খালি করতে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টার দিকে শতাধিক পুলিশ ও উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য যানযন্ত্র (এক্সকাভেটর ও পেলোডার) নিয়ে ওই কলোনিতে গিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা। কিন্তু হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দা ও তাদের স্কুলপড়ুয়া সন্তানদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেদিন রাত ৯টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারেননি তারা। পরে হরিজনদের সঙ্গে সমঝোতা হয় দক্ষিণ সিটির।

দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে করপোরেশনের প্রায় ৩ দশমিক ২৭ একর জমি আছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে আসছেন। কলোনির এক পাশে ২৭ শতাংশ জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে হলে সেখানকার কিছু বাসাবাড়ি ভেঙে দিতে হবে। আগে বিদ্যমান কাঁচাবাজারটি ১৭ শতাংশ জমিতে ছিল। বাকি জমি থেকে স্থাপনা সরাতে এ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।