ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত

রাঙ্গাবালীর তিনজনের প্রার্থিতা হাইকোর্টে বহাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এই তিন প্রার্থী হলেন- চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী পারভীন।

তিনজনের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৩ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহম্মদ মাহাবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি জাগো নিউজকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই তিন প্রার্থী এখন নির্বাচনে থাকছেন।

গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল ইসি। একই সঙ্গে ওই তিন প্রার্থীকেও হাজির হতে বলেছিল ইসি।

ইসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন

রোববার (২ জুন) প্রতিমন্ত্রী ও তিন প্রার্থী ইসিতে হাজির হন। ইসির শুনানি শেষে সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফেরদৌসী পারভীনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেটি আমলে নিয়ে কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। আর তিনি যখন ওই বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তিন প্রার্থী তার সঙ্গেই ছিলেন। এই তিনজনের জন্যই তিনি ভোট চেয়েছিলেন। শুনানিতে তারা সেটি স্বীকার করেন। কমিশন তাদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

এরপর ওই তিন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আগামী ৫ জুন ওই উপজেলায় ভোট হবে।

এফএইচ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।