চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:১৫ পিএম, ০২ জুন ২০২৪
শামীমা নাসরিন ও মোহাম্মদ রাসেল

চেক প্রতারণা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) চট্টগ্রাম ৭ম মহানগর দায়রা জজ মো. মহিউদ্দিন এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পিপি এমএমএস শাহেদ বলেন, ‘চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ডসহ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সাজা পরোয়ানামূলে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পণ্য কেনার জন্য ইভ্যালিতে জমা করা টাকা রিফান্ড করতে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন আবিদকে একটি চেক দেওয়া হয়। এতে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা উল্লেখ ছিল।

একই বছরের ১ নভেম্বর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ওই চেকের টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্লক দেখায়। সেদিনই চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে ১১ নভেম্বর দণ্ডিত আসামিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালে তা রিসিভ না হয়ে ১৪ নভেম্বর ফেরত আসে। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার আসামি করা হয় মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে। ওই সময় আদালত মামলা গ্রহণ করে সমন জারি করেন।

এর আগে বিভিন্ন চমকপ্রদ অফার দেখিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের সঙ্গে লেনদেন করে ইভ্যালি। পণ্য সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন রাসেল ও শামীমা। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্ত হন শামীমা। ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন রাসেল।

এএজেড/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।