জবি শিক্ষার্থী তিথির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। সেসময় এটি ব্যাপক আলোড়ন তোলে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই বছর ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের বিচার শুরু
একই বছরের ৪ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তিথির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অন্যদিকে তিথি সরকারের স্বামী শিপলু মল্লিককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিথিকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেসময় তার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল তিনি নিখোঁজ।
এরপর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর নরসিংদীতে তিথীর স্বামী শিপলু মল্লিকের দূর-সম্পর্কীয় চাচা দেবাশীষ রায়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেএ/জেডএইচ/জেআইএম