হাইকোর্ট
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়
ঢাকাসহ সারাদেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন এবং তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে নীতি ও কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকাসহ দেশে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এবং পলিসি নির্ধারণ এবং নতুন কর্তৃপক্ষ তৈরিপূর্বক কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. রওশন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এর আগে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিরোধে পলিসি নির্ধারণের জন্য গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধে নতুন পলিসি প্রণয়ন ও গাইডলাইন তৈরির জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) মতো একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি প্রণয়ন ও গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা এবং রাজউকের মতো একটি আলাদা কর্তৃপক্ষ তৈরির নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট আবেদন করেন।
রিটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে তাপপ্রবাহ নিয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে পত্রিকার দুটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত আইনজীবীকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তারা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না তা জানার চেষ্টা করতে বলেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন পরামর্শ দেন। আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট রওশন আলী।
তিনি বলেন, দেশের তাপপ্রবাহের এমন অবস্থা কয়েক বছরে হয়নি। কমপক্ষে ১০-১২ বছরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তাই এর প্রতিকার হওয়া দরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ওইদিন আদালত তাকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে চিঠি এবং রিট আবেদন করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ রিট আবেদন করা হয়।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস