বিলুপ্তপ্রায় খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ০৪ মে ২০২৪
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খাড়িয়া ভাষায় কথা বলা দুই বোন

দেশে বিলুপ্তপ্রায় খাড়িয়া ভাষায় কথা বলা দুই বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এসময় খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মৌলভীবাজার জেলা সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার (৩ মে) বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রে শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানের কর্মী দুই বোনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। কিন্তু অনেকের মাতৃভাষা ভিন্ন। এরই মধ্যে সরকারের তরফ থেকে খাড়িয়া ভাষা রক্ষায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে আরও জোরারোপ করা প্রয়োজন।

ভারতের যেসব অঞ্চলে এ ভাষার প্রচলন আছে, সেখানে যোগাযোগ করে খাড়িয়া বর্ণমালা প্রচলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এ ভাষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যেও খাড়িয়া ভাষা ও নাগরী লিপি সংরক্ষণের আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানের অদূরে বর্মাছড়া খ্রিস্টান পাড়ায় দুই বোন ক্রিস্টিনা কেরকেট্টা ও ভেরোনিকা কেরকেট্টার বসবাস। তাদের বাবা-মা এসেছিলেন ভারতের রাঁচি থেকে। বাবা-মায়ের কাছে খাড়িয়া বলতে শিখলেও এ ভাষায় লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না তাদের।

এখন পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে প্রয়োজন অনুসারে বাংলা, সাদরি ও বাগানি ভাষায় কথা বলেন। এর কারণ পরিবার-পরিজন, পরবর্তী প্রজন্ম, পাড়া, গ্রামে কোথাও খাড়িয়া ভাষায় কথা বলার মতো মানুষ নেই। মাতৃভাষার চর্চা, বইপত্র ও সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশ থেকেই হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ভাষাটির।

এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।