পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার-অনিন্দিতার জামিন চেয়ে আবেদন
জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের দুই সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করা হয় বলে সোমবার (২২ এপ্রিল) জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ২০ কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারে সম্পৃক্ততায় পি কে হালদারসহ পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলায় গ্রেফতার পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতার সঙ্গে এবার ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার স্ত্রী ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার সিএডি (অপারেশন) তাপসী রানী শিকদার ও মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দুই ভাই অসীম কুমার মিস্ত্রি ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অবৈধ উপায়ে নিজ নামে ও অন্যদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তারা নিজ দখলে রেখেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন করে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করার অভিযোগ এনেছেন দুদক কর্মকর্তা।
যেখানে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা যোগ করা হয়েছে এজাহারে। একই বছর ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। পরে সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান শেষে এখন তারা কারাগারে আছেন।
এ অবস্থায় চলতি বছরে গত ৯ জানুয়ারি বিচারিক (নিম্ন) আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হওয়ার পর আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।
এফএইচ/এমএএইচ/জিকেএস