তনু হত্যাকাণ্ড : তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের রিট তালিকা থেকে বাদ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট আবেদন হাইকোর্টের কার্য তালিকা (আউট অব লিস্ট) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সম্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ নিজে শুনানি করেন।
মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়ার যুক্তিতে আদালত বলেন, তনু হত্যার ঘটনায় করা মামলা তদান্তাধীন থাকায় তালিকা থেকে বাদ দেয়া হল।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ সংক্রান্ত রিট আবেদন করেন। রিটে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার, পুলিশের আইজিপি, কুমিল্লার পুলিশ সুপার, কোতয়ালী থানার ওসিসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী বলেন, রিটে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানোর পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরেই বাসা থেকে ২০০ গজ দূরে টিউশন শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তনু। রাতেই অলিপুরের একটি ঝোঁপের মধ্যে তনুর লাশ পাওয়া যায়; পাশেই ছিল তার জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না।
ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্নাসের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় সপরিবারে থাকতেন। তার বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর