বার নির্বাচন
কেমন ভোট চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা?
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গত দুই বছরের ভোট নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া উচ্চ আদালত এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়েছিল। নির্বাচনের প্রথমদিন সুপ্রিম কোর্ট বারে প্রবেশ করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। এ ঘটনা বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। এর আগের বছরও বারের সম্পাদকের ভোট নিয়ে উঠেছিল বিতর্ক।
এজন্য সুপ্রিম কোট বারের আগামী নির্বাচন (২০২৪-২৫) নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন আগামী ৬ ও ৭ মার্চ। ভোট কেমন হবে প্রশ্ন তুললেই বলা হয়, দেখি এবার কী হয়, গত দুই বছরের মতো হবে নাতো? ভোট দিতে পারবো তো, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আইনজীবীদের মধ্যে।
সেসবের মধ্যেও ভালো কিছু প্রত্যাশা এবারের নির্বাচন সংক্রান্ত কমিশন ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের। নির্বাচন ঘিরে আইনজীবীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সমিতি ভবনের সামনে, বিভিন্ন প্রবেশমুখে ও দ্বিতীয় তলার সংযোগ সেতুতে দাঁড়িয়ে প্রার্থীদের জন্য ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের হাতে প্রার্থীর পরিচয় সংবলিত কার্ড তুলে দিতেও দেখা যায় সমর্থকদের।
যে কোনো আইনজীবী চান সুষ্ঠু ভোট। তারা সমিতিতে নিরাপদে ভোট দিতে যাবেন। ভোট হওয়ার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তাতে কেউ বিজয়ী হবে কেউ পরাজিত হবে, এটাই নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন যেভাবে হিমঘরে পাঠানো হয়েছে সেই একই কায়দায় বর্তমান সরকার সমর্থক আইনজীবীরা ঢাকা বারেও দুই বছর ধরে কোনো নির্বাচনের ব্যবস্থা করেনি।
নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের জাগো নিউজকে বলেন, চূড়ান্ত প্রার্থী ৩৪ জন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও কলুষমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিটি বদ্ধপরিকর। এবারের নির্বাচনে ভোটার ৭ হাজার ৮৮৩।
আরও পড়ুন
• স্বচ্ছ নির্বাচন করতে সবার সহযোগিতা চায় কমিশন
• সুপ্রিম কোর্ট বারে সভাপতি প্রার্থী এম কে রহমান
• সুপ্রিম কোর্ট বারে পাল্টাপাল্টি ইফতার পার্টি নিয়ে উত্তেজনা
ইউনাইটেড ল’ ইয়ারস ফ্রন্টের (ইউএলএফের) কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব জাগো নিউজকে বলেন, যে কোনো আইনজীবী চান সুষ্ঠু ভোট। তারা সমিতিতে নিরাপদে ভোট দিতে যাবেন। ভোট হওয়ার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তাতে কেউ বিজয়ী হবে কেউ পরাজিত হবে, এটাই নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন যেভাবে হিমঘরে পাঠানো হয়েছে সেই একই কায়দায় বর্তমান সরকার সমর্থক আইনজীবীরা ঢাকা বারেও দুই বছর ধরে কোনো নির্বাচনের ব্যবস্থা করেনি।
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আগের বছর সম্পাদকের নির্বাচনটা শুধু সঠিক হয়নি। কিন্তু গত বছর তো সব সভ্যতা ভব্যতা লঙ্ঘন করে পুলিশ দিয়ে সরকারবিরোধী আইনজীবীদের এবং সাংবাদিকদের আহত করে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৫ ও ১৬ মার্চ আমরা একটি এডহক কমিটি করেছিলাম, ওনারাও একটি কমিটি করেছিল। দুই কমিটির বার চলেছে। আমরা চাই এই শক্তির একটু শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভোটটা নিরপেক্ষ হোক যে জেতার জিতবে, কারণ এই নির্বাচনে তো সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমি মনে করি সরকারি দল ও সরকার সমর্থিত আইনজীবীদের এবার আর উচিত হবে না গতবারের মতো জোর-জবরদস্তি করে ভোটটা নষ্ট করা। আমার প্রত্যাশা আইনজীবীরা এবার আরও সতর্ক থাকবেন সুপ্রিম কোর্ট বারের যে ঐতিহ্য সুষ্ঠু ভোট সেটা যেন বজায় থাকে।
নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বরাবরই বিএনপি এভাবে করে আসছে। কোনটা যে ওনাদের ঠিক আছে আর কোনটা যে ঠিক না ওনারাই বুঝতে পারছেন না। যে পথে তারা এগোচ্ছে এটা কোনো প্রক্রিয়া নয়। একটা প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা হয়। ইলেকশন বির্তকিত করলাম বা পার্টিকুলার কাউকে বিতর্কিত করা সেটা কিন্তু হয় না, মূলত প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাবেক রেলমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বরাবরই বিএনপি এভাবে করে আসছে। কোনটা যে ওনাদের ঠিক আছে আর কোনটা যে ঠিক না ওনারাই বুঝতে পারছেন না। যে পথে তারা এগোচ্ছে এটা কোনো প্রক্রিয়া নয়। একটা প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা হয়। ইলেকশন বির্তকিত করলাম বা পার্টিকুলার কাউকে বিতর্কিত করা সেটা কিন্তু হয় না, মূলত প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বার-ছবি জাগো নিউজ
আরও পড়ুন
• সুপ্রিম কোর্ট বারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন আবুল খায়ের
• সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত
• সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট নিয়ে সরব আওয়ামী লীগ, নীরব বিএনপি-জামায়াত
তিনি বলেন, এটা তো লাভজনক কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) আইনজীবীদের একটি চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠান। এ সংগঠনের নির্বাচন লাভ-লোকসানের কোনো হিসাব নয়। প্রতি বছর ভোট হয়, দেশের সবগুলো বারেই এ ধরনের ভোট আছে। এগুলো নিয়ে যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তা আলাপ-আলোচনা করে নিষ্পত্তি করা ভালো।
তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ করা হলেও নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে সমাধান হয়েছে। আমি যে বছর সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হই, সে বছর দুই ভোটের ডিফারেন্স ছিল, সেটা আবার রিকাউন্টিং হয়েছে। কাজেই নিজেরাই সমাধান করেছি।’
সুপ্রিম কোর্ট বারের গত দুটি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ছিল- এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক এ সম্পাদক বলেন, আমি তো গত ১০ বছর ছিলাম না সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে; আমার মনে হয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করে সুপ্রিম কোর্ট বারের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য সেটা সবাই মিলে ধরে রাখতে পারি সে ব্যাপারে সবার যেন সহযোগিতা থাকে।
স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আইনজীবীদের গৌরবের অংশ। সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত নির্বাচন সমাজে আইনজীবীদের সম্মান বাড়ায়। রাজনৈতিক সংকীর্ণতা আইনজীবীদের গৌরব ও সম্মান সংকুচিত করে। তাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে পরাজয়ের মধ্যেও যে সম্মান থাকে বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও সেই মর্যাদা থাকে না। আমরা চাই সুপ্রিম কোর্ট বারে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। তা না হলে সবার মর্যাদাই নষ্ট হবে।
সাবেক মন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের আরেক সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, গত পাঁচ বছর আমি সরকারের দায়িত্বে ছিলাম। সক্রিয়ভাবে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রমে ছিলাম না। মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে ফিরেছি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি হলো বুদ্ধীজীবীদের একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই এখানে জনমতের প্রতিফলন হোক। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন হোক, কোনো ভাবেই যেন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রক্রিয়ায় এই নির্বাচন না হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট বারে সুন্দর এবং সুষ্ঠু ধারার একটি নির্বাচন করতে চাই। সে হিসেবে ইলেকশন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করবো।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা সুষ্ঠু ভোট।
আরও পড়ুন
• স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চায় ‘ঐক্যবদ্ধ বার আন্দোলন’
• সরকার-সমর্থিত পরিষদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত
• সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ৬-৭ মার্চ
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নবীন আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আইনজীবীদের গৌরবের অংশ। সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত নির্বাচন সমাজে আইনজীবীদের সম্মান বাড়ায়। রাজনৈতিক সংকীর্ণতা আইনজীবীদের গৌরব ও সম্মান সংকুচিত করে। তাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে পরাজয়ের মধ্যেও যে সম্মান থাকে বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও সেই মর্যাদা থাকে না। আমরা চাই সুপ্রিম কোর্ট বারে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। তা না হলে সবার মর্যাদাই নষ্ট হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক নবীন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন নিয়ে পরস্পরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে আমাদের মতো নবীন আইনজীবীদের মধ্যে শঙ্কা ও হতাশা বিরাজ করছে। আমরা এর অবসান চাই।
দেশের আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সভাপতি, সহ-সভাপতি (দুটি), সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সম্পাদক (দুটি) এবং সদস্য সাতটি পদসহ মোট ১৪টি পদে এক বছর মেয়াদের জন্য এই নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে বরাবরই মূলত দুটি প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। একটি হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্যানেল (সাদা হিসেবে পরিচিত)। অন্যটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল হিসেবে পরিচিত)। এরইমধ্যে দুটি প্যানেলই তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এর বাইরেও বেশ কয়েকজন প্রার্থী হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের প্যান্ডেল-ছবি জাগো নিউজ
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারির এক নোটিশে সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের (২০২৪-২৫) তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুসারে, ১২ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ ছিল।
সাদা প্যানেলের প্রার্থী যারা
তফসিল ঘোষণার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (সাদা প্যানেল) তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, সহ-সম্পাদকের দুটি পদে মো. হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব) নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। সদস্য সাতটি পদে মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভুইয়া, মাহমুদা আফরোজ, মো, বেলাল হোসেন, খালেদ মোশাররফ, মো. রায়হান রনি, সৌমিত্র সরদার ও রাশেদুল হক খোকন প্রার্থী হয়েছেন।
নীল প্যানেলের প্রার্থী যারা
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ও জামায়াত নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল হিসেবে পরিচিত) প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন (খোকন), সম্পাদক পদে মো. রুহুল কুদ্দুস, সহ-সভাপতি পদে মো. হুমায়ুন কবির ও সরকার তাহমিনা বেগম, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. রেজাউল করিম, সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও মো. আব্দুল করিম প্রার্থী হয়েছেন। সদস্যের সাতটি পদে ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহী, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. রাসেল আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন হানিফ ও মো. ইব্রাহিম খলিল প্রার্থী হয়েছেন।
বিভিন্ন পদে অন্য প্রার্থী যারা
যাচাই–বাছাই শেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১৪টি পদের বিপরীতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৩৪ জন। দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে আরও দুজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ ও অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান বাবলু (এম কে রহমান)। সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। মো. সাইফুল ইসলাম কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন।
সমিতির গত (২০২৩-২৪) নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক নিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের আপত্তি এবং এর জেরে ভাঙচুর, পুলিশের পিটুনি, হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে গত বছরের ১৫ ও ১৬ মার্চ ভোট হয়। অবশ্য সেই নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জনের ঘোষণা না দিলেও নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি তোলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। গত বছরের ১৭ মার্চ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদের সব কটিতেই জয় পান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের আইনজীবীরা।
এফএইচ/এসএইচএস/জিকেএস