বেইলি রোডে আগুনে মারা গেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আতাউর
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ০২ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫) নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীও মারা গেছেন। তিনিসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন।
এদিকে আতাউর রহমান শামীমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নুর দুলাল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ৯টায় তার নিজ উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুরে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুলাউড়ার নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম
অ্যাডভোকেট শামীম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এছাড়া তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তিনিসহ দুজন একসঙ্গে ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে’ কফি খেতে যান। ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ আওয়াজ শুনতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করলেও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে কিছু না দেখায় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে থাকেন।
এসময় ভিড়ের মধ্যে আতাউর রহমান শামীম নিখোঁজ হয়ে গেলেও তার সঙ্গে নূরুল আলম হেলিপ্যাডের মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যান। পরে অ্যাডভোকেট শামীমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম
আতাউর রহমান শামীমের ভাগিনা তারেক হাসান জানান, গত ১ মাস আগে তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে দেশে এসেছেন। রোববার (৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম