টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে ভারতের দাবির বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার ঘটনায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, হস্তশিল্প বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্যাটানস অ্যান্ড ডিজাইন ট্রেডমার্ক মহাপরিচালক, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও টাঙ্গাইলের দেলদোয়ার উপজেলার ইউএনওকে বিবাদী করা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইলের শাড়ির সঙ্গে ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ভারতের কোনো স্থানের নামও টাঙ্গাইল বলে আমাদের জানা নেই। তাই টাঙ্গাইলের শাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য- এমন দাবি নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আগামী সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জাগো নিউজকে জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে চলছে তর্কবিতর্ক। যারা এখন ভারতকে দোষারোপ করছেন, তাদের কেউ কেন এতদিন টাঙ্গাইলের শাড়িকে জিআই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেননি বা করতে উৎসাহিত করেননি, এ প্রশ্নও সামনে আসছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের দপ্তর, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বা বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআইয়ের আবেদন জমা পড়েনি।
ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক পোস্টে বলা হয়, টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য। এক মাস আগেই পণ্যটিকে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, পূর্ববর্ধমানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
ভারত সামাজিক মাধ্যমে এ তথ্য জানানোর পর বাংলাদেশের অনেকে এ নিয়ে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস