বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না: নুরকে হাইকোর্ট
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা ও রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
আদালতে আজ ভিপি নুরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আরও ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ অরর্ধশত আইনজীবী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
শুনানিতে নুরকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনারা রাজনীতিক, ভবিষ্যতে হয়তো রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবেন, তাই বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। আপনার বক্তব্য যেভাবে পত্রিকায় এসেছে, এভাবে বলে থাকলে বিচার বিভাগ ভেঙে পড়বে।’
আদালতে আজ হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সময় চান নুরের আইনজীবী। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। নুরের আইনজীবীর ভাষ্য, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে নুরের বক্তব্য সে রকম নয়। প্রতিষ্ঠানকে (বিচার বিভাগ) টাচ করার ইনটেনশন ছিল না নুরের।
তখন আদালত বলেন, ‘আমরাও চাই ভিন্ন হোক। এভাবে হলে তো বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।’ আইনজীবী আরও বলেন, ‘(নুর) যে কনটেক্সে বলছে সেটা তুলে ধরবো।’ আদালত বলেন, ‘আপনারা রাজনীতিকরা এমন কিছু বলবেন না যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।’
পরে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, উনি (নুরুল হক) যে বক্তব্য দিয়েছেন আইনজীবী হিসেবে তা আমরা পেয়েছি। ভিডিওটা দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে যেভাবে বক্তব্যটা পত্রিকায় এসেছে হয়তোবা সেভাবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মিন করেনি। ইনটেনশনটা ভিন্ন ছিল। আমরা যে রিপ্লাই দেবো আশা করি আদালত সন্তুষ্ট হবেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগে বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আজ আদালতে হাজির জন নুরুল হক নুর। এরপর এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় গত ১৭ ডিসেম্বর নুরকে তলব করে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। ওইদিন দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি। সমাবেশে বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন নুর।
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম