যে দোষ করিনি সেই দোষের শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রায়ের জন্য ধার্য দিনে শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আক্ষেপ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, মনে দুঃখটা রয়ে গেলো। যেহেতু আজ বছরের প্রথম দিন, আনন্দের দিনে আমরা মনে যে আঘাতটা পেলাম। এটা কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল সেটা গ্রহণ করলাম দোষ হিসেবে।
আরও পড়ুন>> ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
ড. ইউনূস বলেন, আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে রায়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম, যে দোষ করি নাই সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চাইলে বলেন। সেটা আপনাদের ইচ্ছা।
তিনি বলেন, এই দোষ যেভাবে আদালত থেকে শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার পাবো সেটা আমাদের আইনজ্ঞ এখানে আছেন ব্যারিস্টার মামুন সাহেব তিনি ব্যাখ্যা করবেন।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আপনি কি মনে করেন এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ মামলা ও দণ্ড? এর জবাবে ইউনূস বলেন, এটার বিষয়ে আইনজীবী বলবেন যা বলার।
এদিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় ঘোষণা শুরু করা হয়। রায় শোনার জন্য ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন>> রায় ঘোষণার ৫ মিনিটেই ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিন
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর সংগ্রহের জন্য ভিড় জমান দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এফএইচ/বিএ/এএসএম