এমপি পদে স্বতন্ত্র নির্বাচন
এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর চ্যালেঞ্জ করা রিট তালিকা থেকে বাদ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রিটটি কার্যতালিকা (কজলিস্ট) থেকে বাদ দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন এ রিট নিয়ে হাইকোর্টের অপর এক বেঞ্চে শুনানির জন্য যাবেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী নিজে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিট শুনানি করতে গেলে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
এখন রিটটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে যাবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী নিজে।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী এ রিট করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ‘বেইমান-দালাল’ স্লোগানের মুখে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়লেন শাহজাহান ওমর
রিটের বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর থাকার বিধান থাকার কারণে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এ বিধানটি তুলে দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঝামেলামুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ কারণে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১৯৮৫ জন, অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ জন প্রার্থীকে। অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের অধিকাংশের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পেছনে কারণ ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আদায় নিয়ে সমস্যা।
ইসিতে আসা প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এ শর্ত বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের সংবিধানে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা বলা হলেও নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরিত আবেদন জমা দিতে বলেছে। এতে ভোটের আগেই ভোটারের সমর্থন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।
অনেক প্রার্থী বলছেন, ১ শতাংশের বেশি ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হলেও তা জেলা নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসন দিয়ে যাচাই-বাছাই করায় অনেকে ভয় পেয়েছেন। স্বাক্ষর করা অনেকে কর্মজীবী হওয়ায় যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে তাদের পায়নি জেলা নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম