নাশকতার দুই মামলা
বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড, নবীসহ ৩৮ জন খালাস
রাজধানীতে নাশকতার অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে মুগদা থানার নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ ৩৮ জন খালাস পেয়েছেন। তবে এ মামলায় জহিরুল ইসলাম নামে একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শাহাদত হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আল মামুন পান্না, শামিম, মোহাম্মদ আলী, মো. আব্দুল খালেক, সোহেল, তানভীর, ইমদাদুল হক।
রামপুরায় নাশকতায় ১৪ জনের কারাদণ্ড
রামপুরা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের এক ধারায় দুই বছর এবং আরেক ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফয়েজ আহমেদ ফরু, আবুল মেছের, হেলাল কবির হেলু, আলম, শোভন, কামাল হোসেন দুলু, নাফিদ সারোয়ার তন্ময়, আশরাফুল আরিফ ওরফে ডন, মশিউর রহমান ওরফে মশু, রেজাউল করিম ওরফে রাজু, মাইন উদ্দিন আহম্মেদ তুহিন, মির্জা হাসান ইমাম বুলু, আহম্মদ আলী চৌধুরী ও দিদারুল ইসলাম।
জানা যায়, নাশকতার অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
জেএ/ইএ/এমএস