পটিয়ায় স্বামী হত্যায় পলাতক গৃহবধূর যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের পটিয়ায় শ্বাসরোধ করে আবদুর রহিম নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মিনু আক্তারকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিনু আকতার পটিয়া থানার কুসুমপুরা গ্রামের আনু মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির নিহত ভিকটিমের স্ত্রী।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শরীফুর রহমান এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, পটিয়ার কুসুমপুরা গ্রামে শ্বাসরোধ করে আবদুর রহিম নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিনু আকতারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগপত্রের ১১জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রায় দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, মামলার আসামি ঘটনার পরপরই গ্রেফতার হয়েছিলেন। মামলার বিচার চলাকালে জামিয়ে গিয়ে পলাতক হন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর কুসুমপুরা গ্রামের বাড়ি থেকে আবদুর রহিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পাওয়ায় তার স্ত্রী মিনু আকতারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা উল্লেখ করা হলে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি পটিয়া থানার কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ উপপরিদর্শক এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আকতারকে একমাত্র আসামি করা হয়।
পরে তদন্তে জানতে পারেন পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর দিনগত রাতে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্বামী আবদুর রহিমকে হত্যা করে মিনু আকতার। মামলা তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
ইকবাল হোসেন/এমএএইচ/এমএস