আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মারা গেছেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহির রাজিউন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাত ১০টায় বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ হার্ট অ্যাটাক করলে রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মনোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১টার দিকে মনোয়ারা হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিচারপতি মো. আবদুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মেয়ে ও মেয়ের জামাতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসলে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি জানান, বিচারপতি মো. আবদুর রশিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

তার মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। শোকবার্তায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ একজন সাহসী ও ন্যায় বিচারক ছিলেন। তিনি তার কর্ম ও রায়ের মাধ্যমে মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুর রশিদকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তবে আইন কমিশনের কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপোড়নের জেরে ২০১০ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি পদত্যাগ করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে আবদুর রশিদ ২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। বিচারপতি হিসেবে রশিদ হাইকোর্টের বিচারপতিদের মামলা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের মামলা, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন মামলাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দেন।

এফএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।