দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

নৌকা নিয়ে ভোটে লড়ার প্রস্তুতি অর্ধশত আইনজীবীর

মুহাম্মদ ফজলুল হক
মুহাম্মদ ফজলুল হক মুহাম্মদ ফজলুল হক , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৩
নৌকার মাঝি হতে চান যেসব আইনজীবী-ছবি জাগো নিউজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিতে আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলীয় কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিতিসহ সামাজিক নানান কর্মকাণ্ডেও ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাদের কেউ কেউ এলাকায় গণসংযোগও শুরু করেছেন।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার দৌড়ে এবারও পিছিয়ে নেই আইনজীবীরা। তাদেরও অনেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। আইনজীবী রাজনীতিকদের মধ্যে যেমন বর্ষীয়ানরা আছেন তেমনি আছে অনেক নতুন মুখও। তারা মনে করেন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে দল এবারও তরুণদের প্রাধান্য দেবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হতে আগ্রহী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও অন্যান্য জেলার বারের সদস্য মিলিয়ে এরকম অন্তত অর্ধশত আইনজীবী রয়েছেন। তাদের অনেকে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে ‘সবুজ সংকেতও’পেয়েছেন। অনেকে নৌকার হাল হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী।

আরও পড়ুন: উপেক্ষিত জনদুর্ভোগ, মনোনয়নে মনোযোগ নেতাদের 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সম্পাদক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিসহ আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে। তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। এলাকার সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন আইনি সহায়তা। সঙ্গে দলের উচ্চ পর্যায়ে লবিং-তদবিরেও চোখ রাখছেন। মনোনয়নপ্রত্যাশী পেশাজীবী আইনজীবীদের অনেকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে তাদের নিজ নজি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালাতে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ভোটের সময় ঘনিয়ে এলেও বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অটল। তারা বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছেন। তবে যে কোনো সময় হাওয়া বদলে যেতে পারে, এমন ভাবনা থেকে বিরোধীদলগুলোর অনেক নেতা ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হিসেবে অর্ধশত আইনজীবী নেতা বর্তমানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে তারা দলের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত নেতারাও মাঠে রয়েছেন। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি প্রচারণার মাঠে সরব সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত আইনজীবীরা। তাদের উপস্থিতি এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।

আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপরীক্ষা’র মধ্যেই সংঘাতে জড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল! 

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এবার নতুন করে আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট আশরাফুল হক জর্জ, অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ, ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

আলোচনায় আরও আছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট ড. মোহাম্মদ জগলুল কবির, মোহাম্মদ হোসেন, মনোয়ার হোসেন, এনামুল কবির ইমন, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার, ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট এস এম ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ, বিপ্লব হাসান পলাশ, অ্যাডভোকেট মো. সাফায়ত হোসেন সজীব, অ্যাডভোকেট কুহেলি কুদ্দুস মুক্তি, অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ, অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট জামিল হোসেন দুর্জয়।

অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক পেশায় আইনজীবী হলেও রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তিনি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এবার দল ঢাকা-১৩ আসনে পরীক্ষিত এ নেতার হাতে নৌকার হাল তুলে দিতে পারে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা রয়েছে। সাদেক খান এ আসনটির বর্তমান এমপি।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সম্পাদক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিসহ আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে। তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। এলাকার সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন আইনি সহায়তা। সঙ্গে দলের উচ্চ পর্যায়ে লবিং-তদবিরেও চোখ রাখছেন।

 

অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ঢাকা-৭ (লালবাগ-কোতোয়ালি) আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য তিনি। পুরান ঢাকার রাজার দেউড়ীতে জন্ম এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর। তৃণমূল থেকে উঠে আসা নজিবুল্লাহ হিরু স্কুলজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রেজারার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

আরও পড়ুন: এবার দুঃখ ঘুচবে সাবেক ছাত্রনেতাদের! 

তবে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীসময়ে যুবলীগ হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে আসা নজিবুল্লাহ হিরু ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে জাগো নিউজেকে বলেন, দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দল মনোনয়ন দিলেই কেবল প্রার্থী হবো।

অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির
ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-কলাবাগান-হাজারীবাগ) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে জোরালোভাবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। এ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র। মোমতাজ উদ্দিন ফকির সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সম্পাদক, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আসনটির বর্তমান এমপি ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

jagonews24মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন আইনজীবীরা-ছবি জাগো নিউজ

অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোশাররফ হোসেন কাজল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। এর আগেও তিনি এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এ আসনে টানা তিন মেয়াদে এমপি আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্।

অ্যাডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান বাদল
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) দায়িত্ব পালন করছেন মোখলেসুর রহমান বাদল। আগামী জাতীয় নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে চান তিনি। এ লক্ষ্যে এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে গণসংযোগ করছেন।

আসনটির বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান অ্যাডভোকেট বাদল ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির সদস্য ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মোখলেছুর রহমান বাদল ছাড়াও এ আসনটিতে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মো. সোহরাব উদ্দীন।

ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ। এলাকায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এ তরুণ আইনজীবী জাগো নিউজকে জানান, গত ১৩ বছর ধরে নিয়মিত এলাকার সব মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহেই এলাকায় যান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। আসনটিতে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ আহমেদ।

আরও পড়ুন: এমপিদের ‘আমলনামা’ দেখেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন 

অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক
জাতীয় পার্টির দখলে থাকা ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন চাইতে পারেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি একাধারে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সদস্য এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ল’ এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (আইইউলা) উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি। নির্বাচন সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন শাহ মঞ্জুরুল হক। যদিও তিনি আগে থেকেই এলাকার মানুষের পাশে থেকে সেবা ও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ময়মনসিংহ-৮ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা ফখরুল ইমাম। তিনি দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ওই আসন থেকে নির্বাচিত হন।

শাহ মঞ্জুরুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হতাশ। তারা বঞ্চিত। এলাকায় ঘুরে দেখেছি, সারাদেশে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও আমাদের এলাকায় সেটার ছোঁয়া তুলনামূলক কম। সে কারণে আমি মনে করি, এ আসনে নৌকার প্রার্থী দেওয়া উচিত। এছাড়া জাতীয় সংসদেও আইনজীবীদের জোরালো প্রতিনিধিত্ব দরকার।

আশরাফুল হক জর্জ
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফুল হক জর্জ। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার বিষয়ে কেন্দ্র থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও ওই আসন থেকে নৌকার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছিলেন তিনি। আসনটিতে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন আর কোন দেশে হয় 

অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী
ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয় প্রত্যাশা করছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক। ঢাকার সন্তান ড. মেহেদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে একাধিকবার কারা নির্যাতনের শিকার। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দুবার সদস্য ছিলেন।

আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে ২০২০ সালের নভেম্বরে যে উপ-নির্বাচন হয়েছিল তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ৫৬ জন। সেই উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ হাবিব হাসান বিজয়ী হন। সেই উপ-নির্বাচনে ড. মেহেদী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি।

এবার আসনটিতে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এস এম তোফাজ্জল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ মো. খসরু চৌধুরী, মহানগরের সাবেক সদস্য ও ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান এবং মহানগরের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। এছাড়া আরও অনেকে আছেন আলোচনায়।

অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনাকারী কমিটির সদস্য তিনি। বর্তমানে পাবনা-৪ আসনের এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তবে অ্যাডভোকেট রবিউল এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। নৌকার মনোনয়ন পেলে ভোটে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল
নোয়াখালী-১ (চাটখিল সোনাইমুড়ি) আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট বারের দুবারের সম্পাদক ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আব্দুন নূর দুলাল। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দল মনোনয়ন দিলে আমি আমার নিজের জনপদের মানুষের সেবা করার জন্য কাজ করতে চাই। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের উন্নয়নে সর্বদা নিয়োজিত থাকতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের পর নতুন ভোটার নয় 

অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম
ঢাকা-৪ আসনে (শ্যামপুর- কদমতলী) আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। তিনি এ আসনের সাবেক এমপি। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও। আসনটিতে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

ড. মোহাম্মদ জগলুল কবির
ঢাকা-৪ আসনে (শ্যামপুর-কদমতলী) আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. মোহাম্মদ জগলুল কবির। অ্যাডভোকেট ড. জগলুল জাগো নিউজকে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার তৃণমূলের মানুষ আমাকে চায়। আমি মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হতে পারলে এলাকার উন্নয়ন হবে। আমি সর্বদা জনগণের পাশে থাকবো এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।

jagonews24নৌকার মাঝি হতে চান অনেকে-ফাইল ছবি

এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ
ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার ও নাগরপুর) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তরুণ এ আইনজীবী যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি এরই মধ্যে এলাকায় গণসংযোগও শুরু করেছেন।

খন্দকার রেজা-ই-রাকিব
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পরিচালক ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব ওরফে মুন্না। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নানা সেবামূলক কাজে যুক্ত। আগামী নির্বাচনে দল মনোনয়ন দিলে উন্নয়ন এবং সেবামূলক কাজে বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন বলেও জানান।

 

অন্যদিকে ভোটের সময় ঘনিয়ে এলেও বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অটল। তারা বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে। তবে যে কোনো সময় হাওয়া বদলে যেতে পারে, এমন ভাবনা থেকে বিরোধীদলগুলোর অনেক নেতা ভেতরে ভেতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

 

ব্যারিস্টার রাকিব জাগো নিউজকে বলেন, নাগরপুর-দেলদুয়ারের মানুষের পাশে থেকে অবদান রাখতে চাই। শিক্ষা, অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবহেলিত এ দুই উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নাগরপুর ও দেলদুয়ারে আরও ব্যাপকভাবে প্রসারের ইচ্ছা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশেই এলাকায় জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। আমি এলাকায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।

আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ইসি 

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানামুখী জনসেবামূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এ আইনজীবী। তিনি বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে। আসনটিতে বর্তমান এমপি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এবং বর্তমানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।

অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ
নোয়াখালী-৪ (সদর উপজেলা) আসনে এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ড. বশির আহমেদ। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং ‘জয় বাংলা’স্লোগানকে সর্বত্র ও সর্বসাধারণের স্লোগান করার জন্য রিটকারী আইনজীবী। তিনি এলাকায় নিজের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

সুলতান মাহমুদ সিমন
শরীয়তপুর-২ আসনে (নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানা) আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ সিমন। তিনি নড়িয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নড়িয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। ওই আসনের বর্তমান এমপি পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম। সংরক্ষিত নারী আসন-২৭ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার এবার এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) থেকে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে জানান, নেত্রীর বিবেচনায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি এলাকায় জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। আসনটিতে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা আহসান আদেলুর রহমান। দশম জাতীয় নির্বাচনেও এ আসনে জাপা নেতা শওকত চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। ব্যারিস্টার মোকছেদুল মনে করেন, এলাকায় টানা দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টির এমপি থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা এবার নৌকার প্রার্থী প্রত্যাশা করছেন।

ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে কর্মরত ছিলেন ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা উপজেলা) আসন থেকে এবার নৌকার মনোনয়ন পেতে চান তিনি। বর্তমানে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তিনি। ওই আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা রানা মোহাম্মদ সোহেল। আগের মেয়াদে এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জাগো নিউজকে বলেন, নেত্রী ও দল চাইলে আগামী নির্বাচনে যাবো। অনেক আগে থেকেই এলাকার জনগণের জন্য কাজ করছি। মনোনয়ন না পেলেও দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে কাজ করবো।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজ করে আসছি। বিশেষত অনগ্রসর নারী ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে। এছাড়া আমার গড়া একটি ফাউন্ডেশন ২০০৯ সাল থেকে এলাকায় সেবামূলক কাজে নিয়োজিত।

মোহাম্মদ হোসেন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে নৌকার মাঝি হতে চান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। তিনি রীতিমতো মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ, পথসভা করছেন। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৬ 

অন্যদিকে সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আগে থেকেই মাঠে কাজ করছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা। তালা-কলারোয়ার প্রতিটি সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিত রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। এ আসনের বর্তমান এমপি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

jagonews24বড় দলের হয়ে নির্বাচনে লড়তে চান উচ্চ আদালতের অনেক আইনজীবী-ফাইল ছবি

অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে চান জেসমিন সুলতানা। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ও ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় ঈদ উপহার বিতরণ ছাড়াও করোনা মহামারিকালে তিনি মতলবে রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার ও চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া জনসেবামূলক কাজেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ইমন উচ্চ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারকাজে বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেলেও ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়ান। সিলেট-৩ (বর্তমানে সুনামগঞ্জ-৩) আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রইসের পুত্র ব্যারিস্টার ইমন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের দুবার প্রশাসকও ছিলেন। আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ইমন এলাকার মানুষের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার
অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য। সার্বক্ষণিক প্রচারণাও চালাচ্ছেন তিনি। আসনটিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।

ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান
ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) থেকে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুহসীন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিনি। নির্বাচনের লক্ষ্যে এলাকায় গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রম করছেন বলে জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের হাবিবুন নাহার এ আসনের বর্তমান এমপি।

অ্যাডভোকেট এস এম ফজলুল হক
অ্যাডভোকেট এস এম ফজলুল হক কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক। তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশা করছেন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে। এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা এসএম শাহাজাদা। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফজলুল হক জাগো নিউজকে জানান, বিগত তিনটি নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। এবারও এলাকার মানুষ তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান।

ড. ইবনে আজিজ মো. নূরুল হুদা
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন থেকে এবার নৌকার মনোনয়ন চান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইবনে আজিজ মো. নূরুল হুদা। তিনি ঢাকা বারের সাবেক ট্রেজারার। মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে এলাকায় জনসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। আসনটিতে বর্তমান এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন 

অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ
রাজবাড়ী-২ (পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি) আসন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমেদ। তিনি এলাকার মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ ও গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। আসনটিতে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জিল্লুল হাকিম।

মনোয়ার হোসেন
আগামী জাতীয় নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন। তিনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন। সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও তিনি সম্পৃক্ত।

সালমা হাই টুনি
মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসন থেকে এবার নৌকার মনোনয়নের অপেক্ষায় সালমা হাই টুনি। তিনি ঢাকার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর। ঢাকা বারের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের আইনজীবী ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ওয়ান/ইলেভেনের সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে ভূমিকা রাখেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পক্ষে (রাষ্ট্রনিযুক্ত) তার মামলা পরিচালনা করেছিলেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। টানা দুই মেয়াদে এ আসনে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা মৃণাল কান্তি দাস।

কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে অ্যাডভোকেট কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি এবার সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে চান। তিনি বাংলাদেশে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। গত ৩০ আগস্ট নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস মারা যান। এ আসনে ১১ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।

বিপ্লব হাসান পলাশ
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক ছাত্রনেতা বিপ্লব হাসান পলাশ কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি এরই মধ্যে জনসংযোগ শুরু করেছেন। আসনটি জেলার রৌমারী উপজেলা, চর রাজিবপুর উপজেলা, চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়ন ও নয়ারহাট ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার আলগা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন।

jagonews24নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ-ফাইল ছবি

অ্যাডভোকেট মো. সাফায়ত হোসেন সজীব
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. সাফায়ত হোসেন সজীব বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি এলাকায় জনসেবামূলক কাজ এবং গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন। আসনটিতে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম কিবরিয়া টিপু।

আরও পড়ুন: কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয় 

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক, জেলা বারের সভাপতি ও আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। বর্তমানে এ আসনের এমপি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ। টানা দুই মেয়াদে তিনি এ আসনের এমপি।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ময়মনসিংহ বারের আইনজীবী অ্যাডভেকেট কায়সার আহমেদ। এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল দুই মেয়াদে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

 

আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হিসেবে অর্ধশত আইনজীবী নেতা বর্তমানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে তারা দলের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত নেতারাও মাঠে রয়েছেন। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি প্রচারণার মাঠে সরব সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত আইনজীবীরা। তাদের উপস্থিতি এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।

 

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে সংসদ সদস্য হতে চান বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান। আসনটিতে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি।

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর উপজেলা এবং গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাউয়ালগর ও পিরুজালী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রহমত আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট জামিল হোসেন দুর্জয় এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান। এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন সবুজ।

মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চান অ্যাডভোকেট ঢালী মোয়াজ্জেম হোসেন ও অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা। আসনটিতে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আগে থেকে চূড়ান্ত
আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগের এমন আরও অনেকে হেভিওয়েট নেতা রয়েছেন, যাদের অনেকে বর্তমানে দলটির এমপি ও সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেকে অতীতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। আগামী নির্বাচনে তারাও দলীয় প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে আশাবাদী। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, আইসিটি মন্ত্রী, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, বিমান ও পযটনমন্ত্রী ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী। তারাও আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন।

এ তালিকায় উপরের সারিতে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম এমপি, চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.. দীপু মনি এমপি, হবিগঞ্জ-৪ ( চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি, পাবনা-১ (সাথিয়া ও বেড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পঞ্চগড়-২ আসনের এমপি রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ উপজেলা) আসনের এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তালিকায় আরও আছেন নাটোর-৩ (সিংড়া উপজেলা) আসনের এমপি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা-২ আসনের এমপি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাবো) আসনের এমপি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এছাড়া কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর উপজেলা) আসনের এমপি আ. ক. ম. সারোয়ার জাহান বাদশা, মুন্সিগঞ্জ-৩ (গজারিয়া) আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এবং গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের এমপি ও আওয়ামী কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিও থাকবেন হেভিওয়েটদের তালিকায়।

এফএইচ/এমকেআর/এসএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।