সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার বকেয়া ভাতা বন্ধের কারণ জানতে রুল
সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্থগিত রাখা বকেয়া সম্মানীভাতা কেন পরিশোধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত আবেদন দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারির আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চার বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশদের বকেয়া ভাতা না দেওয়ায় বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চার বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশদের ভাতা স্থগিত করা হয়। পরে ভাতা চালু করলেও আগের বকেয়া প্রদান করা হয়নি। নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাতা পরিশোধে সুপারিশ করলে দীর্ঘদিন যাবৎ বকেয়া প্রদান করা হয়নি।
তিনি বলেন, এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বকেয়া ভাতা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সময়ে আবেদন করলেও কোনো আবেদনই নিষ্পত্তি করা হয়নি। রিট পিটিশনকারীরা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজ উদ্দিন, সাদেক আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ ওয়ারিশ।
এফএইচ/ইএ/এমএস