মানবতাবিরোধী অপরাধ
হবিগঞ্জের ২ আসামির পক্ষে ৫ম সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি ১৪ নভেম্বর
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই আসামির পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের পঞ্চম সাক্ষীর সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া (৬৬) এবং মো. জামাল উদ্দিন আহম্মদ (৬৫)।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিনে চতুর্থ সাক্ষীর জেরা শেষ হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। তার সঙ্গে ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।
এর আগে এ মামলায় আসামিপক্ষের আরও তিন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হলো।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন তিনজন। এরমধ্যে গিয়াস উদ্দিন নামের এক আসামি মারা গেছেন। বাকি দুইজন গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আসামিপক্ষে সাফাই ডিফেন্সের সাক্ষী তাদের জবানবিন্দ পেশ করেছেন।
২০১৮ সালের ১৩ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাক্ষীদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউটরের আনা মোট ১১ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ মার্চ আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তা প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ জনকে হত্যা, ৬ নারীকে ধর্ষণ, ২৫ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩০ জনকে অপহরণ-নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। পাঁচটি অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলার মোট সাক্ষী ২৩ জন।
এফএইচ/কেএসআর/এমএস