২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা দুদক কর্মকর্তা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সোনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা কামরুল হুদাকে (৫০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জুয়েল দেব তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান।

আরও পড়ুন: চাঁদা না পেয়ে কাজ আটকে দেওয়ার অভিযোগ ২ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে

গ্রেফতার কামরুল হুদা দুদকের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে কর্মরত। তিনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানাধীন উত্তর ধুরং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মদন মিয়াজী পাড়ার মৃত গোলামুর রহমানের ছেলে।

কামরুল হুদার বিরুদ্ধে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন সোনা ব্যবসায়ী পরিমল ধর। জাল ডকুমেন্ট বানিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন: পরিবহন থেকে চাঁদা নিতেন তারা

এর আগে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন কাতালগঞ্জ এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে কামরুল হুদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কামরুল হুদা ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে হাজারী গলির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরিমল ধরকে দুদকের একটি নোটিশ দেন। প্রফুল্ল ধর নামের এক ব্যক্তির সই করা ওই চিঠিতে লেখা আছে, ‘পরিমল ধরের ইয়াবার ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ কালো টাকা উপার্জন তদন্তের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের আবেদন।’

নোটিশটি দিয়ে কামরুল হুদা নিজের মোবাইল নম্বরটি পরিমল ধরকে দেন। এরপর ওই মোবাইলে যোগোযোগ করা হলে ২০ লাখ টাকা দিলে পরিমল ধরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলে জানান কামরুল হুদা।

এরপর এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য কামরুল হুদা কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে পাঁচলাইশ থানা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে যান। এর আগেই বিষয়টি পুলিশকে জানান পরিমল ধর। পরে পুলিশ গিয়ে কামরুল হুদাকে আটক করে।

এমডিআইএইচ/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।