শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামি তুষারকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
কুমিল্লা সদরের কৃষ্ণনগরে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি মেহেরাজ হোসেন তুষারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আদেশ দেন।
২০১৮ সালেরে ১৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার সদরের কৃষ্ণনগরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে একই গ্রামের মেহেরাজ হোসেন তুষার। হত্যার পরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে মরদেহ লুকিয়ে রাখে তুষার। পরদিন মরদেহ খুঁজে পায় পরিবার। তারপর সেই শিশুর জানাজাও পড়ে সেই তুষার। ওই ঘটনায় প্রথমে অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করে পুলিশ।
পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ না মিললেও ভিসেরা রিপোর্টে পাওয়া যায় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর নানা সমীকরণ মিলিয়ে ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয় তুষারকে। সেদিনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।এরপর গত ২১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয় তুষার। পরে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, ৪ বছরের মেয়েটাকে হত্যা করেছে। তার আগে মেয়টাকে ধর্ষণ করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। পরে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। এ বছরের ৭ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়। এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। ২১ আগস্ট জামিন নিয়ে বেরিয়ে যায় আসামি। তারপর ভিকটিমের মাকে মামলা তুলে নিতে বলে। এর প্রেক্ষিতে জিডি হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদেশে তুষারের জামিন স্থগিত করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
এফএইচ/এমএএইচ/এমএস