মাদক মামলায় জি কে শামীমের জামিন
মাদক মামলায় কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামাল পারভেজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আরও পড়ুন: মানি লন্ডারিং মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত। বাকি সাত আসামিকে (জি কে শামীমের দেহরক্ষী) চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন
এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে আদালত জব্দ করা সব ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জি কে শামীম, এবং তার সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: কে এই জি কে শামীম?
এফএইচ/এমকেআর/এএসএম