দুর্নীতি-অর্থপাচারের বিষয়ে চুপ থাকা অন্যায়: হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৩
ফাইল ছবি

অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া স্বতঃপ্রণোদিত রুলে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হতে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুনানিতে আদালত বলেছেন, যারা অর্থপাচারে (মানি লন্ডারিং) যুক্ত থাকে তাদের মানসিক রোগ আছে। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো বিষয়ে চুপ করে থাকাটা অন্যায়।

সোমবার (২১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

আদালতে আজ এস আলম গ্রুপের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। অন্যদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

হাইকোর্ট বলেন, জেনেশুনে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। দেশ-জাতির স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে হেয় করার জন্য কিছু করা হলে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।

“ইদানীং দেখা যাচ্ছে, কোনো রায় কারও বিপক্ষে গেলেই কোর্টকে অ্যাটাক করে মন্তব্য করা হয়। বলা হয় ‘ফরমায়েসি’ রায়। এটি আমাদের জন্য বিব্রতকর।”

এর আগে এস আলম গ্রুপের বিষয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত রুলে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদনটি নথিভুক্ত করেন আদালত।

গত ৪ আগস্ট একটি পত্রিকায় এস আলম গ্রুপের বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে ‘এস আলম’স আলাদিন’স ল্যাম্প’ (বাংলা সংস্করণে ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’) শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সুমন।

প্রতিবেদনটি উচ্চ আদালতের নজরে আনার পর এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত ৬ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন। পরে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ প্রত্যাহার চেয়ে এ দম্পতির করা পৃথক দুটি আবেদনের তথ্য জানা যায়।

এফএইচ/এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।