গাড়ি ভাঙচুর
ইসহাক সরকারসহ বিএনপির ২১ নেতাকর্মীর দুই বছরের কারাদণ্ড
গাড়ি ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকারসহ ২১ জনের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৬ জনকে খালাস দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপিপন্থি ১৪ আইনজীবীর জামিন, ৪ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
আসামিপক্ষের মহিউদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আসামি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আজ আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তড়িঘড়ি রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। সঠিকভাবে বিচার হলে আমরা ন্যায়বিচার পেতাম। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: আমান দম্পতিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৮ মে আদালতে ইসহাক আলী সরকারসহ ৫৭ জনের চার্জশিট দেন পুলিশের উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান। পরে আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৩১ জুলাই রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর (মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া) বিরুদ্ধে আদালতের রায় ঘিরে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে ককটেল ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এসময় রাস্তায় চলাচলকারী ৪/৫টি গাড়ি ভাঙচুর এবং সেসব গাড়ির চালকের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামিরা।
আরও পড়ুন: রিজভী আমার বাবার বয়সী, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হোক
জেএ/এমকেআর/এএসএম