৭ খুন মামলা : তারেক সাঈদের আবেদনের ওপর আদেশ মঙ্গলবার


প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬
আদালতে তারেক সাঈদ (৭ মার্চ)

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় করা মামলা বাতিল ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) তারেক সাঈদের করা আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ  আদেশ দেন।

আদালতে তারেক সাঈদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির। এর আগে গত ৭ মার্চ মামলা বাতিল চেয়ে করা অপর আসামি তারেক সাঈদের করা এক আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট।

পরে প্রধান বিচারপতি তারেক সাঈদের আবেদন শুনতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ ঠিক করে দেন আবেদন শুনানির জন্য। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা বাতিল ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন তারেক সাঈদের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন নারায়গঞ্জের আদালত।এ মামলায় ভারতে আটক নূর হোসেন ও   র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকি ১২ জন পলাতক রয়েছেন।

সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন ও র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) তারেক সাঈদ, মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এমএম রানা অন্যতম আসামি।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে অপরজনের লাশ পাওয়া যায়। নিহত অপর পাঁচজন হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।  

এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।