২৯০ এমপির শপথের বৈধতা নিয়ে রিট: শুনানি হতে পারে চেম্বারে
একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত ২৯০ সংসদ সদস্যের শপথের বৈধতা নিয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি খারিজ করা হয়। এরপর একই বছরের সেপ্টেম্বরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলেও এতদিন শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
চার বছরের বেশি সময় পর এসে শুনানির জন্য ফের উদ্যোগ নিলেন রিট আবেদনকারী। এ অনুযায়ী আবেদনটি রোববার (১১ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের কার্য তালিকায় (কজলিস্টে) ওঠে। এদিন শুনানি না হলেও আজ সোমবার (১২ জুন) শুনানি হতে পারে বলে জানান আবেদনকারী আইনজীবী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। যিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা তারিখ নির্ধারণের জন্য আবেদনটি উপস্থাপন করেছিলাম। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাওয়ায় আবেদনটি আজ আবারও কার্য তালিকায় আসবে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ সদস্য ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ নেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচিত ব্যক্তিরা ওই বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম বৈঠক হয়।
সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর। তাই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শপথ নেওয়া হয়েছে, এমন যুক্তিতে একাদশ সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া শপথের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। এরপর শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ বলেছিল, ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার দিন থেকে সংসদ সদস্যরা কার্যভার গ্রহণ করে থাকেন। ফলে আগে শপথ নিলেও তাতে সংবিধান বা আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি।
এরপর আবেদনকারী ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম