৬ষ্ঠ, ৭ম শ্রেণিতে প্রচলিত পরীক্ষা-কোচিং বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ০৬ জুন ২০২৩

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক, অনুসন্ধানমূলক কাজের মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারি করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে অতিরিক্ত বই কেনা, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হয়েছে।

জনস্বার্থে সোমবার (৫ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এই নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগোনিউজকে নিশ্চিত করেন তিনি।

ডাকযোগে পাঠানো নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনি প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে বলেও লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা ফি গ্রহণ করে ক্লাস পরীক্ষা, অর্ধ বার্ষিক প্রস্তুতিমূলক মূল্যায়ন পরীক্ষা, অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা, বার্ষিক প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা এবং বার্ষিক পরীক্ষার নামে প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার আয়োজন করলে, কোনো স্কুলের শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য করলে, সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত বইয়ের বাইরে কোনো প্রকার বই, গাইড-বই কিনতে বাধ্য করলে এবং সেই বইয়ের আলোকে কোনো প্রকার পরীক্ষা গ্রহণ করলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে।

পাঠানো নোটিশে বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথাগত পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি হবে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথাগত কোনো পরীক্ষাই হবে না। সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এখনকার মতো জিপিএ ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।

আরও পড়ুন> ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে পরীক্ষা-মডেল টেস্ট নিলেই ব্যবস্থা

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের জন্য প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক, অনুসন্ধানমূলক কাজের মাধ্যমে মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। অথচ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্কুল সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষা গ্রহণ করছেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, এ সব পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা ফি বাবদ আদায় করা হচ্ছে, যা নতুন শিক্ষাক্রমের পরিপন্থি। এ ছাড়াও পাঠ্যবই ছাড়াও অতিরিক্ত বই কেনানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। প্রচলিত পেপার পরীক্ষার সুযোগে শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্যও করছেন।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।